রাঙামাটির কাপ্তাই হ্রদের জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রের ১৬টি জলকপাট দ্বিতীয়বারের মতো বন্ধ করা হলো। হ্রদের পানি কিছুটা কমে আসায় আজ সোমবার সকাল ৮টায় জলকপাটগুলো বন্ধ করা হয়। এ সময় কাপ্তাই লেকের পানির লেভেল ছিল ১০৮ দশমিক ৩৯ ফুট মিন সি লেভেল। লেকের পানির সর্বোচ্চ ধারণ ক্ষমতা ১০৯ ফুট মিন সি লেভেল। সকাল ১০টায় কেন্দ্র
টানা ১৫ দিন পানি ছাড়ার পর অবশেষে আজ সোমবার সকাল ১০টায় বন্ধ করা হয়েছে রাঙামাটির কাপ্তাইয়ের কর্ণফুলী পানি বিদ্যুৎকেন্দ্রের স্পিলওয়ের ১৬টি জলকপাট। এর আগে অতি বর্ষণে উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে কাপ্তাই লেকের পানি গত ২৪ আগস্ট সন্ধ্যায় বিপৎসীমা
নিষেধাজ্ঞা শেষে শনিবার মধ্যরাত থেকে কাপ্তাই হ্রদে আবার মাছ আহরণে নামেন জেলেরা। তবে পাহাড়ের একটি আঞ্চলিক দলের সদস্যদের চাঁদা দিতে না পারায় জেলেদের মাছ শিকার করতে নিষেধ করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। ফলে অনেক জেলেই নিষেধাজ্ঞা শেষ হলেও মাছ ধরেননি। প্রথম দিনে মাছ আহরণও হয়েছে তাই কম।
কাপ্তাই হ্রদের পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় এবার ১৬টি জলকপাট ১৮ ইঞ্চি খুলে সেকেন্ডে ২৮ হাজার কিউসেক পানি ছাড়া হচ্ছে। আজ মঙ্গলবার দুপুরে এমন তথ্য জানান, কর্ণফুলী পানি বিদ্যুৎকেন্দ্রের ব্যবস্থাপক এ টি এম আব্দুজ্জাহের।
ভারতের মিজোরাম ও খাগড়াছড়ির বন্যার পানি নেমে আসায় রাঙামাটির কাপ্তাই হ্রদের পানি বেড়েছে। পানিতে হ্রদের তীরবর্তী ১০ হাজারের অধিক বাড়িঘর প্লাবিত হয়েছে। এতে দুর্ভোগে পড়েছে লাখো মানুষ।
খাগড়াছড়ি ও ভারতের বন্যার পানি নেমে আসায় কাপ্তাই হ্রদের পানি বেড়েছে। এতে হ্রদের তীরবর্তী বিভিন্ন এলাকার কয়েক হাজার বাড়ি-ঘরে পানি উঠেছে। ফলে দুর্ভোগে পড়েছে এসব জায়গার বাসিন্দারা।
কাপ্তাই পানি বিদ্যুৎকেন্দ্রের ১৬টি জলকপাট দিয়ে পানি ছাড়া অব্যাহত রয়েছে। আজ সোমবার সকাল থেকে ১৬টি জলকপাট দিয়ে ৬ ইঞ্চি করে পানি কর্ণফুলী নদীতে গিয়ে পড়ছে। এর আগে গতকাল রোববার রাতে ৪ ইঞ্চি করে পানি ছাড়া হচ্ছিল। সোমবার সকাল ১০টায় কাপ্তাই লেকের পানির উচ্চতা ছিল ১০৮.৮৪ ফুট মিনস সি লেভেল।
কাপ্তাই লেকের পানি ছাড়ার পর নদীতে পানির প্রবাহ বৃদ্ধি পেলে প্ল্যান্টগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা থেকে যায়। এ অবস্থায় অতিরিক্ত সতর্কতা হিসেবে প্রকল্প নিরাপদ রাখতে গেটগুলোতে তিন ফুট উঁচু পর্যন্ত বালুর বস্তা রাখা রয়েছে। একই সঙ্গে প্রকল্পগুলো সার্বক্ষণিক নজরদারির আওতায় রাখা হয়েছে।
পানি ছাড়ার ছয় ঘণ্টা পর রাঙামাটির কাপ্তাই জলবিদ্যুৎকেন্দ্রের ১৬টি জলকপাট বন্ধ করেছে কর্ণফুলী বিদ্যুৎকেন্দ্র কর্তৃপক্ষ। কাপ্তাই লেকে পানি ১০৮ ফুট মিন সি লেভেল বা বিপৎসীমা অতিক্রম করায় আজ রোববার জলবিদ্যুৎকেন্দ্রের ১৬টি স্পিলওয়ের গেট খুলে দিয়ে পানি ছাড়া হয়েছে।
কর্ণফুলী নদীতে স্রোত বেশি থাকার কারণে আজ রোববার সকাল ৮টা থেকে চট্টগ্রামের চন্দ্রঘোনা ফেরিঘাটে ফেরি চলাচল বন্ধ রয়েছে। এতে নদীর রাঙামাটির কাপ্তাই উপজেলার রাইখালী এবং চট্টগ্রাম জেলার রাঙ্গুনিয়া উপজেলার চন্দ্রঘোনার অংশ থেকে কোনো ফেরি ছাড়েনি। ফলে এই পথ দিয়ে রাঙামাটি-বান্দরবান ও রাঙামাটি-রাজস্থলী সড়কে যান
রাঙামাটির কাপ্তাই বাঁধের পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করায় কর্ণফুলী পানি বিদ্যুৎকেন্দ্রের (কপাবিকে) স্পিলওয়ের ১৬টি জলকপাট ৬ ইঞ্চি করে খুলে দেওয়া হয়েছে। এতে প্রতি সেকেন্ডে ৯ হাজার কিউসেক পানি কর্ণফুলী নদীতে পড়ছে।
কাপ্তাই হ্রদের পানি বাড়ায় বাংলাদেশের একমাত্র জলবিদ্যুৎ কেন্দ্র কাপ্তাই পানির বাঁধটি ঝুঁকির মুখে পড়েছে। বাঁধে পানির চাপ কমাতে স্লুইসগেটের ১৬টি দরজা খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাঁধ নিয়ন্ত্রক কর্তৃপক্ষ। আজ শনিবার রাত ১০টায় বাঁধের ১৬টি দরজা খুলে দেওয়া হবে।
পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় কর্ণফুলী জলবিদ্যুৎকেন্দ্রের ১৬টি স্পিলওয়ের গেট আজ শনিবার রাত ১০টায় ৬ ইঞ্চি করে খুলে দেওয়া হবে। এ জন্য ভাটি অঞ্চলকে জরুরি সতর্কবার্তা দেওয়া হয়েছে। আজ বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের এক জরুরি বার্তায় এ তথ্য জানানো হয়।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে কাপ্তাই বাঁধের পানি ছাড়া হবে—এমন খবর ভাইরাল হয়েছে। এই গুজবে রাঙামাটিসহ কাপ্তাই বাঁধের নিম্নাঞ্চলের মানুষের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে। তবে বিষয়টি সম্পূর্ণ মিথ্যা ও গুজব বলে জানিয়েছে কাপ্তাই বাঁধ কর্তৃপক্ষ।
কয়েক দিনের টানা ভারী বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে বেড়েছে রাঙামাটির কাপ্তাই হ্রদের পানি। এতে হ্রদের ওপর থাকা দৃষ্টিনন্দন ঝুলন্ত সেতুটি পানিতে তলিয়ে গেছে। সেতুটি পর্যটকদের চলাচলের জন্য বন্ধ করে দিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
কাপ্তাই হ্রদের মাঝখানে জেগে থাকা তিন একর জমিতে স্থানীয় সাত যুবক গড়ে তুলেছেন রাঙা বেসক্যাম্প নামে একটি রেস্টুরেন্ট। বিস্তীর্ণ হ্রদের স্বচ্ছ পানিতে ভ্রমণে গিয়ে ক্লান্ত হলে দুপুরে খাওয়ার জন্য আসতে পারেন এখানে। ব্যবস্থা আছে পার্বত্য অঞ্চলের ঐতিহ্যবাহী খাবারের।
রাঙামাটির কাপ্তাইয়ের বীর কুমার তনচংগ্যা সাইকেলে ভ্রমণ করেছেন ভারতের ১০ অঙ্গরাজ্য। গত ২৮ ফেব্রুয়ারি এ ভ্রমণ শেষ হয় তাঁর। তিনি সাইকেলে মোট অতিক্রম করেন ৫ হাজার ৭০০ কিলোমিটার। মানুষকে স্বেচ্ছায় রক্তদানে উদ্বুদ্ধ করতে, জলবায়ু পরিবর্তন রোধে সচেতন করতে এবং মাদক গ্রহণের কুফল তুলে ধরা এই ভ্রমণের উদ্দেশ্য বল